এদিকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পুলের হাটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় যশোর-মাগুরা মহাসড়ক দখল করে সপ্তাহে দুদিন মঙ্গল ও শুক্রবার এখানে হাট বসে। ঝুঁকি নিয়ে চলে সবজি বেচাকেনা। কখনও কখনও দূরপাল্লার যানবাহন আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। দুর্ভোগ পোহাতে হয় যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের ক্ষেত থেকে টাটকা সবজি তুলে হাটে বিক্রি করতে এসেছেন। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মূল হাটের জায়গার পাশাপাশি অনেকেই মহাসড়কের ওপর সবজি সাজিয়ে রেখেছেন।
আলু, বেগুন, বিভিন্ন জাতের কপি, কচুরলতি, লাউ, কুমড়া, টমেটো, শশাসহ টাটকা নানা সবজি সাজিয়ে বসে থাকেন বিক্রেতারা। এখানে আসলে চোখে পড়বে বড় কাঁটা বা দাঁড়িপাল্লায় ওজন মাপার কাজ। কেউ চিৎকার করে সবজির দর তুলছেন। কেউ আবার পরখ করে দেখছেন সবজি।
ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে হাটের দিন সরগরম হয়ে ওঠে সবজি বাজার। তবে মহাসড়ক দখল হাট বসায় যানবাহন আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে মহাসড়কে যাতায়াতকারী মানুষদের।
এ ব্যাপারে কৃষকরা জানান, ‘অন্য জায়গায় সবজির হাট নিয়ে গেলে ভালো হয়। তবে বিকল্প স্থানে হাট সরিয়ে নিলে বিক্রি কম হবে। কারণ এ হাট দীর্ঘদিনের।’
যানজটে আটকে থাকা ট্রাক ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায়ই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। হাটের দুদিন (মঙ্গল ও শুক্রবার) এ সড়কে ঢোকা খুবই কষ্টকর।’
হাটের ইজারাদার সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা বলেন, এবার ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে হাটটি কিনেছি। এ অঞ্চলের কৃষকরা এ হাটে তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে আসেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক ব্যবসায়ীরাও আসেন। সপ্তাহে দুদিন এখানে হাট বসে।
হাটে প্রায় কোটি টাকার সবজি বিক্রি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাটের নির্ধারিত জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বিক্রেতাদের মহাসড়কের ওপর সবজি নিয়ে বসতে হয়। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, ‘আমি নিজেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একদিন প্রায় এক ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে ছিলাম। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর হাটের পূর্বপাশের কয়েকটি গর্ত ভরাট করে কিছু জায়গা বাড়িয়েছি। রাস্তার পশ্চিম পাশের ব্রিজ সংলগ্ন একটি বড় পুকুর ভরাট করে দিলেই রাস্তার ওপর হাট বসাতে হবেনা। তবে বরাদ্দ না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।’
বিষয়টি উপজেলা হাট বাজার উন্নয়ন বিষয়ক সভায় একাধিকবার তোলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।